১৯ বছর পর আবারও চালু হলো আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ। এই পথে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে এটি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
নাব্য সংকটের কারণে ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে যায় এই নৌপথ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফের চালু হওয়ার বিষয়টি উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা থেকে পাবনার বেড়ার কাজিরহাট পর্যন্ত এই নৌপথের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে সোয়া এক ঘণ্টা।
একটি বড় ও দুটি মাঝারি ফেরি দিয়ে এই পথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে। ফেরিতে ওঠার জন্য বড় বাসকে ২ হাজার ৬০, ট্রাককে ১ হাজার ৪০০ ও মাইক্রোবাসকে ১ হাজার টাকা করে গুনতে হবে। আর ছোট গাড়ির জন্য ভাড়া ৬৮০, মোটরসাইকেলের ১০০ এবং জনপ্রতি যাত্রীর ভাড়া ২৫ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘এই নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে এবং জীবনমান উন্নয়ন হবে।’
এর আগে পদ্মা-যমুনা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে ২০০২ সালে আরিচা ফেরি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াতে স্থানান্তর করা হয়। এই নৌপথ ফের চালু করতে গত বছরের নভেম্বরে প্রায় ১৪ কোটি ব্যয়ে শুরু হয় ড্রেজিংসহ অন্যান্য কাজ।
৩ ফেব্রুয়ারি ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’ নামের একটি ফেরি পরীক্ষামূলকভাবে আরিচা ঘাটে চলাচল শুরু করে। এরপর শনিবার থেকে পুরোদমে ফেরি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলো আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ।