চাঁদপুরের হাইমচরে নিজ বাড়ির উঠান থেকে এক শিক্ষিকার আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হাইমচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার।
শিখা রানী মজুমদার স্থানীয় ফিরোজা কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন।
জানতে চাইলে পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত নিউজবাংলাকে বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চাঁদপুর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আহসান হাবিব জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
শিখা রানীর বৌদি সবিতা রানী মজুমদার জানান, বাড়িতে তিনি ও শিখা থাকতেন। শিখা অবিবাহিত। ভোরে আশপাশের লোকজনের চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙলে সবিতা তার পাশে শিখাকে দেখতে পাননি। পরে ঘর থেকে বের হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা শিখার শরীরে আগুন জ্বলতে দেখেন।
সবিতা রানী বলেন, ‘রাতেও শিখা স্বাভাবিক ছিল। কারও সঙ্গে শিখার কোনো বিরোধ ছিল না। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা বুঝতে পারছি না।’
শিখার প্রতিবেশী শোভা রানী বলেন, ‘আমি ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, মাটিতে পড়ে থাকা একটি মানুষের দেহে আগুন জ্বলছে। কাছে গিয়ে দেখি শিখা। চিৎকার করে সবাইকে ডাকলে আরও অনেকের সাহায্যে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষণে শিখা মারা যায়।’
পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার আরও জানান, বাড়িতে শিখা তার বড় ভাই শক্তি মজুমদারের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার ভাই মারা যাওয়ার পর বাড়িতে শিখা ও তার বৌদি সবিতা রানী থাকতেন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।