জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার হিসাব রক্ষণ অফিসের ৪২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই অফিসের এক কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে।
দুই দফায় ১৭ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি তার নামে সরিষাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সাকিবুল হাসান হিসাব রক্ষণ অফিসে নন অফিসিয়ালি কম্পিউটার অপারেটর পদে কাজ করতেন। তিনি উপজেলার চর জামিরা গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার সকালে এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা স্নিগ্ধা রায়হানের সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি গত ২০ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ীতে যোগ দিয়েছি। এখানে আসার পর অফিসের পুরান ফাইল চেক করতে গিয়ে ১০ লাখ টাকার একটি বিল আমার নজরে পড়ে।
‘পরে প্রমাণ পাই এ বিল ভাউচারটি ভুয়া। এরপর চেক করতে গিয়ে আরও চারটি ভুয়া ভাউচার নজরে আসে। পাঁচটি ভুয়া বিলে টাকার পরিমাণ প্রায় ৪২ লাখ।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাকিবুল ৩ বছর ধরে এ অফিসে কাজ করছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অফিসের অর্থ-সংক্রান্ত অনেক বিল তার হাত দিয়েই হচ্ছিল।
‘একপর্যায়ে অফিসের অডিটর, সুপার ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে পাঁচটি বিল তৈরি করে ব্যাংক থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি বিল নজরে এলে বাকিগুলো ধরা পড়ে।’
ময়মনসিংহ বিভাগীয় হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক শাহজাহান সরকার জানান, এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কারও কারও ধারণা ৪২ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অফিসের সাবেক হিসাবরক্ষক, সুপার ও অডিটরের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। সেগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম জানান, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের ৪২ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি দুদকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই এখানে আমাদের করার আর কিছু নেই।