ফেনীতে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে এক স্কুলছাত্রী।
নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর দাবি, ধর্ষণের কারণে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি তার সন্তান জন্ম নিয়েছে।
ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল হাসানের আদালতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফুলগাজী থানায় মেয়েটির মা ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং তার বাবা, মা ও অপর আরেকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, বিয়ের কথা বলে রাঙামাটির একটি ফাঁড়িতে কর্মরত ওই কনস্টেবল মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সে সময় তিনি মেয়েটিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে মেয়েটিকে ভয়ও দেখান ওই কনস্টেবল।
এরপর মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই কনস্টেবলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। কনস্টেবল ও তার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও নানা কারণে সময় পেছাতে থাকেন।
পরে ওই স্কুলছাত্রীর সন্তান জন্ম হলে তার পরিবারের সদস্যরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুতুব উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলামকে মামলার তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে।