গুণবতী গ্রামে জান্নাতুল মাদ্রাসায় পড়ে বড় ছেলে। তাকে দেখতে পাশের বধুড়া গ্রামে বাড়ি থেকে গিয়েছিলেন মা ফারজানা। কোলে ছিল ১৮ মাসের শিশুসন্তান।
ফেরার পথে হেঁটে রেললাইন ক্রস করছিলেন ফারজানা। হঠাৎ একপাশ দিয়ে দ্রুতগতিতে একটি ট্রেন আসতে দেখে দ্রুত পার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় অপর পাশ থেকে আসা ট্রেনে কাটা পড়েন মা-শিশু দুজনই।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার গুণবতী রেলস্টেশনের কাছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন একসঙ্গে গুণবতী স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন ফারজানা।
ফারজানা গুণবতী ইউনিয়নের বুধড়া গ্রামের মানিক মজুমদারের স্ত্রী। কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মানিক।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।