মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ‘মরা জুড়ী নদীতে’ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় নদীর জায়গায় ঘর তুলে থাকা ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, উচ্ছেদের আগে কোনো নোটিশ পাননি তারা।
বুধবার দুপুর ১টা থেকে জুড়ির জাঙ্গালিয়া মৌজার হরিরামপুর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এ সময় প্রায় ১০ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট অর্ণব মালাকার ও জুড়ীর এসিল্যান্ড মুস্তাফিজুর রহমান। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় নোটিশ না পাওয়ার অভিযোগ করেন কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তিরা জানান, থাকার মতো কোনো জায়গা না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে জায়গা কিনে বসবাস করছিলেন। কিন্তু নোটিশ না দিয়েই তাদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আবু জাহের নামে এক ব্যক্তি জানান, মাত্র ১৫ ফুট বাই ১৫ ফুট জায়গায় একটি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। কিন্তু সেটি ভেঙে ফেলায় পরিবার নিয়ে যাওয়ার মতো আর কোথাও জায়গা নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. আল আমিন বলেন, ‘নোটিশ দিয়েই অভিযান শুরু করা হয়েছে। দখলদারদের যথেষ্ট সময়ও দেয়া হয়েছিল নিজেরা ভেঙে ফেলতে। কিন্তু তারা তা করেননি।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেন, ‘প্রথমে ১-২ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এরপরে ২২ দিন সময় ও নোটিশ দিয়ে এবং মাইকিং করে জানানো হলেও দখল ছেড়ে না দেয়ায় অভিযান চালানো হয়েছে।
উচ্ছেদ করার জন্য মোট ৮০টি স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।