ফেনীতে প্রতারণার মামলায় বাবা-ছেলের কারাদণ্ড হয়েছে। তা ছাড়া মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ায় এক সাফাই সাক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন দুইজন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি ওই সাফাই সাক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা করার এ নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন দাগনভূঁঞা উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে মো. সুমন। জয়নালকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার ছেলে সুমনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করাহয়।
সাফাই সাক্ষীর নাম রমজান আলী স্বপন। বাড়ি উপজেলার সিন্দুরপুর গ্রামে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. সুমন ও তার বাবা জয়নাল আবেদীন উপজেলার বারইকান্দি গ্রামের মো. ওমর ফারুককে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ওমানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ওমর ফারুক ভিসা ও আকামার জটিলতায় পড়ে ওমানে ২৭ দিন কারাগার ভোগ করেন এবং পরে দেশে ফিরে আসেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ করে আড়াই লাখ টাকা আসামিরা ফিরিয়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৮ সালের ১২ জুলাই মাসে ওমর ফারুক মামলা করেন।
বিচার চলাকালে আসামিপক্ষে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন রমজান আলী স্বপন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেন, তিনি বাদী ওমর ফারুকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে ওমানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন বলে দাবি করেন।
তবে সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আসামি সুমনের সঙ্গে ওমানে একই কোম্পানিতে চাকরি এবং একই কক্ষে থাকার সুবাদে সুমন ও তার বাবাকে বাঁচানোর উদ্দেশে তিনি বাদীকে বিদেশ নেন মর্মে দাবি করেন। তবে বাদীপক্ষের আইনজীবীর জেরায় ও মামলার অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যে রমজান আলী স্বপন মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
রায় ঘোষণার সময় জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার ছেলে সুমন পলাতক।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন।