বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া শিশু, হাসপাতালে আতঙ্ক

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫৩

হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরা দুই নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু হিজাবে মুখ ঢাকা থাকা এবং সিসিটিভির ফুটেজ স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছে না।

সিরাজগঞ্জে ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশুকে এক দিন পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার শিশুটি চুরি হওয়ার পর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। অনেকেই নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। যারা এখনও আছেন, তারাও শিশুকে চোখের আড়াল করছেন না।

পুলিশ বলছে, শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে বিশেষ টিম। তাকে দ্রুত উদ্ধার করা হবে।

হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরা দুই নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু হিজাবে মুখ ঢাকা থাকা এবং সিসিটিভির ফুটেজ স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছে না।

মাহিন নামের শিশুটি চুরি হওয়ার পরই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় আনা হয় পরিবর্তন। তবে আতঙ্ক কাটেনি ওয়ার্ডে অবস্থানকারীদের।

এক শিশুর স্বজন মদিনা পারভিন জানান, ‘আমি চার দিন ধরে মেয়েকে নিয়ে আছি। ওই ঘটনার পর থেকে আর কোথাও যাচ্ছি না। মনে অনেক ভয় নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করাচ্ছি।’

আরেক স্বজন মমতা বেগম জানান, ‘নাতিনকে নিয়ে ছয় দিন হাসপাতালে ছিলাম। কালকে শিশু চুরি হওয়ার কারণে নাতিনকে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি। এখন বাড়িতেই চিকিৎসা করাব।’

শিশু চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দুষছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, শিশু ওয়ার্ডের অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে। এখানে তাদের কোনো গাফিলতি নেই।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, সবার আগে শিশুটিকে উদ্ধার করতে হবে। পরে কার গাফিলতি আছে তা যাচাই করা যাবে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা আক্তার জানান, ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তারা তেমন কোনো তথ্য পাচ্ছেন না। শিশুটিকে নিয়ে যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর