সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন শাহ মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
পটুয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (ক অঞ্চল) হাকিম আমিনুল ইসলাম বুধবার অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন।
অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন দুদকের সরকারি আইনজীবী আরিফুর হক টিটু ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোজাম্মিল হোসেন।
অভিযুক্ত সাবেক সিভিল সার্জন শাহ মোজাহিদুল ইসলাম বর্তমানে উপপরিচালক হিসেবে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল দিনাজপুরে কর্মরত।
আইনজীবী টিটু জানান, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার তৎকালীন টিএইচও শহীদুল আলম ছুটিতে থাকায় শাহ মোজাহিদুল উপজেলার অতিরিক্ত আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেন জেলা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস।
২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি হেলথ কেয়ারের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ভ্যাট ও আয়কর ভুয়া, জাল বিল ব্যবহার করে তা থেকে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে সত্যতা পান।