‘বাবা আমি জিনের বাদশা… আজমির শরিফ থেকে বলছি...তুই ভাগ্যবান…কয়েক দিনের মধ্যে তুই কোটিপতি হবি…বাবার দরবারে কিছু জায়নামাজ কিনে দিতে হবে…।’
গভীর রাতে এমন একটি ফোনকল পেয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের ভ্যানচালক আব্দুল জলিল। এরপর কথিত সেই জিনের বাদশার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ১৫ দিনে প্রায় দেড় লাখ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দর্শনা থানায় মঙ্গলবার রাতে আবদুল জলিল প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান।
সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের আমতলা পাড়ার বাসিন্দা জলিল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু হয় জিনের বাদশা মরজেম পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তির ফোন আসা। বিভিন্ন সময় ফোন করে তাকে বলা হতো, দরবারে জায়নামাজ দেয়া, খোঁড়া ছেলেদের খাওয়ানো, দরবার শরিফ নির্মাণ করার জন্য টাকা দিতে হবে। এসব কাজে টাকা দিলে তিনি কোটিপতি হয়ে যাবেন।
জলিল জানান, কোটিপতি হওয়ার আশায় জিনের বাদশার কথায় কয়েক দফা তার দেয়া একটি ফোন নম্বরে (০১৭৮...) বিকাশ করে তিনি টাকা পাঠান। এই টাকা জোগাড় করেন ধারদেনা করে ও স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে।
জলিলের দাবি, এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন তিনি।
এরপর তাকে বলা হয়, বগুড়ায় গিয়ে পিতলের মূর্তি সংগ্রহ করতে হবে। সেটি ঘরে রাখলে মূল্যবান মোহর পাওয়া যাবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, গত শনিবার রাতে বগুড়া শহরের একটি জায়গায় গেলে এক ব্যক্তি তাকে লাল কাপড়ে মোড়ানো একটি পিতলের মূর্তি দেয়।
এর বিনিময়ে আবারও বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলা হয় জলিলকে। কিন্তু মূর্তি বাড়ি নিয়ে এসে রাখার পর মঙ্গলবার পর্যন্ত মোহর না পাওয়ায় তার সন্দেহ হয়। এর পর তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ভ্যানচালক জলিলের লিখিত অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’