পঞ্চগড় আদালত চত্বরে মারধরের শিকার হয়েছে বাদীপক্ষের তিন নারী ও এক শিশু।
জেলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বরে মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়া এলাকার মকছেদুর রহমানের স্ত্রী আজিমা খাতুন, আজিমার মা সকিনা বেগম, খালা আরজিনা বেগম ও পাঁচ বছরের মেয়ে মারিয়া শেখ।
তারা জানান, বাড়ির গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র করে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী আজিরত ইসলামের পরিবারের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তাদের পরিবারের কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি আজিরতসহ আটজনের নামে আদালতে মামলা করেন মকছেদুর। ওই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা জামিন চান। পরে আদালত আজিরত ও রয়েল নামের দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজিমা খাতুন জানান, মামলার শুনানির সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ভবন থেকে বের হওয়ার সময় আসামিপক্ষের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী শ্রুতি বেগম ও বোন রুবিনা খাতুন তাদের টেনেহিঁচড়ে আদালত চত্বরে নিয়ে মারধর করেন। তার প্রতিবন্ধী মেয়েটিকেও মারধর করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ওই সময় তারা চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে যাননি। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পুলিশ রুবিনা খাতুনকে আটক করেছে। তবে অন্যরা পালিয়ে যান।
পঞ্চগড় আদালতের পরিদর্শক মকবুল হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বিষয়টি পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছেন। এখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।