বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রায় শুনেই বাদীর ওপর হামলা

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫৩

রায় শুনে আদালতের ভিতরেই বাদীর উপর হামলা করে আসামিপক্ষের কয়েকজন নারী। পরে বাদীকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিচার শেষ হতে লেগেছে ১৬ বছর। ২০০৫ সালের এক হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। রায় শুনেই আদালতে আসামিপক্ষের কয়েকজন নারী বাদীদের উপর হামলা চালায়।

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা জেলা আদালতে। মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় শোনার পরই হামলা হয় বাদীদের উপর। এ সময় আদালতের ভিতরে হইচই শুরু হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আদালত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের আলতু লস্কর, ইদ্রিস আলী ও কাসেম লস্কর।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি আর্থিক বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন উপজেলার খালিয়া গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের চাচা হাফিজুর রহমান বিশ্বাস পাঁচ জনের নামে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা চলা অবস্থায় বাদী হাফিজার রহমানের মৃত্যু হয়।

পরে নিহতের বাবা মাহাবুবুর রহমান বাদী হিসেবে মামলা সক্রিয় রাখেন। ২০০৬ সালে ওই মামলায় পুলিশ চারজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মাগুরার জজ কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মসিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে জানান, পুলিশ যে চারজনের নামে অভিযোগপত্র দিয়েছিল তাদের মধ্যে হিরু লস্কর মারা গেছেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাকি তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর ইদ্রিস আলী পলাতক।

আইনজীবী জানান, দুপুরে মামলার রায় ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি পক্ষের পরিবারের কয়েকজন নারী সদস্য। তারা হামলা চালায় মামলার বাদী মাহাবুবুর রহমানের ওপর। পরে পুলিশের সহায়তায় হতাহতের ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মাহাবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর পর হলেও ছেলের হত্যার একটা বিচার হয়েছে। মামলার প্রথম বাদী ছিলেন আমার ভাই। তিনি বেঁচে থাকলে সব থেকে বেশি খুশি হতেন। তারা এমন খারাপ যে, রায় শোনামাত্র আদালতে সবার সামনে আমার উপর হামলা করে। চিৎকার করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আমিও আতঙ্কে আছি।’

মাগুরার জজ আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ নিউজবাংলাকে জানান, ‘এই রায় নিয়ে আগে থেকে উত্তেজনা ছিল। তাই পুলিশ রায়ের সময়টা সতর্ক অবস্থানে ছিল। রায় ঘোষণার পর আকস্মিকভাবে আসামিপক্ষের কয়েকজন নারী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বাদীর উপর হামলা চালাতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

তিনি আর বলেন, ‘বাদীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর