জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সুপারভাইজার সুশান্ত কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও নিউজবাংলার হাতে এসেছে।
সুশান্ত কুমার ঘুষ নিয়েও সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে হয়রানি করছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন সুজন গাজী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগটি দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে।
সুজন গাজীর বাড়ি বকশীগঞ্জের গাজীরপাড়া গ্রামে। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, তার বোন চায়না আক্তার জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য ২১ জানুয়ারি বকশীগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত। মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য তার কার্যালয়ের সুপারভাইজার সুশান্ত কুমার চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেন।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় এক সালিশে উভয় পক্ষকে আপস করে দেয়া হয়। এই আপসনামার একটি কপি মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়। সুপারভাইজার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নামে কয়েক দফায় তার (সুজন গাজী) কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ঘুষ নেন।
সুজন গাজীর অভিযোগ, ঘুষ নেয়ার পরও সুপারভাইজার সুশান্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে আরও টাকা দাবি করে তাকে হয়রানি করতে থাকেন। তিনি (সুজন) হয়রানি থেকে বাঁচতে বকশীগঞ্জের ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা মিথ্যা, বানোয়াট। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ভিডিও করা হয়েছে।
‘সুজন গাজী একটি স্ট্যাম্পের কাজের জন্য এসেছিল। সেই স্ট্যাম্পের ফি আমি নিয়েছি। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটিকে ঘুষ গ্রহণ বলছে।’
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জের ইউএনও মুনমুন জাহান লীজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুজন গাজী সোমবার অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আরও একটি পত্র দিয়েছেন অভিযোগটি তুলে নেয়ার জন্য। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অভিযোগ তুলে নেয়ার বিষয়ে সুজন গাজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনো অভিযোগ তুলিনি। সোমবার রাতে একটি কম্পিউটারের দোকানে সুশান্ত ও তার এক লোক একটি সাদা কাগজে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমি অভিযোগ তুলব না। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’