পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নেতা গুরুতর আহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সমর্থকরা।
জনতা কলেজমাঠ থেকে সোমবার বেলা ১১টা থেকে সাংসদের সমর্থকরা মিছিল বের করে গোলাবাড়ি পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের অন্তত ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন তারা।
জনতা কলেজমাঠ থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় কাঠে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়। এ সময় শহরে যান চলাচল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন। এখনও গোটা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শহিদ বেদিতে ছাত্রলীগের ফুলের তোড়া ভাঙার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগ প্রতিবাদ মিছিল করে। এ মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
পরে সাংসদ ও মেয়রের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে সাংসদের সমর্থক পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ গুরুতর আহত হন।
জনতা কলেজমাঠ থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়। ছবি: নিউজবাংলাতাদের রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন সাংসদের সমর্থকরা।
ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, ‘গতকালকের (রোববার) ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
‘বর্তমানে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’