কিশোরগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমবার সকালে এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মো. লুৎতু, মো. শরীফ, মো. সোরাব ও তার স্ত্রী জোসনা এবং মো. মুসলিম ও তার স্ত্রী নূরুন্নাহার।
২০১১ সালের ২১ মে মোড়লপাড়া গ্রামের রুবার সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের শামীম নামের এক যুবকের। ৩ জুন রাতে ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে না পেয়ে খুঁজতে বের হন। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে বাড়ির পেছনের ডোবায় রুবার মরদেহ পাওয়া যায়।
পরদিন রুবার ভাই আল আমিন করিমগঞ্জ থানায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তদন্তে জানা যায়, আসামি শরীফ তার বোন তানিয়াকে শামীমের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই রুবাকে হত্যা করেন। শরীফ ও তার ভগ্নিপতি লুৎতুসহ অন্যরা রুবাকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে রাখেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন ও করিমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি শামীমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ ইমাম জানান, এ মামলায় বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে। এতে তারা সন্তুষ্ট।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অশোক সরকার বলেন, ‘এ মামলায় আসামিরা ন্যায়বিচার পাননি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করলে ন্যায়বিচার পাবেন।’