একটি দুটি নয়; এক লাখ মোমবাতি জ্বেলে নড়াইলবাসী স্মরণ করলেন অমর একুশের ভাষাশহিদদের।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠ প্রাঙ্গণে ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ স্লোগানে প্রতিবছরের মতো এবারও একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে একুশ উদযাপন পর্ষদ।
এ সময় মঞ্চে শুরু হয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনা গণসংগীত ও কবিতা।
নড়াইলের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার দর্শনার্থী উপভোগ করেন চোখধাঁধানো এই আয়োজন। তবে করোনার কারণে এ বছর দর্শনার্থী উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল।
মোমবাতির আলোয় ফুটে ওঠে বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বিষয়
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভাষাশহিদদের স্মরণে এবারের লাখো মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
একুশ ফেব্রুয়ারিতে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে নড়াইলবাসী অপেক্ষায় থাকে সন্ধ্যার এই মোমবাতি প্রজ্বালনের দৃশ্য দেখতে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠ প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে মোমবাতির আলোয়। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয় বিভিন্ন বর্ণমালা, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় সংসদ ভবন, শাপলা ফুলসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বিষয়। এরই মধ্যে মাঠের পাশে তৈরি মঞ্চে শুরু হয় ভাষার গান আর কবিতা আবৃত্তি।
প্রায় দুই ঘণ্টার এই অনুষ্ঠান একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হয় মোমবাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আলোকিত হয়ে যায় বিশাল এই মাঠ। এ সময় নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ১০০টি ফানুস ওড়ায়।