মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ১০ দিনের মাথায় একই গ্রামের আরেক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার ২২ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যাচ্ছিল সে। তখন ওই ছাত্রীর মা বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তির ছেলে ছাত্রীকে তুলে নিতে গেলে সে চিৎকার দেয়। চিৎকারে তার মা ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় বখাটে।
ওই একই গ্রামে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সঙ্গে তার ভিডিও ধারণ করে দুই বখাটে।
ওই গ্রামে নারীদের ওপর নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দুটি ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটেরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের স্নেহধন্য হিসেবে পরিচিত। তাদের প্রভাবে বখাটেরা এ ধরনের কাজ করতে সাহস পাচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ‘অভিযুক্ত বখাটে সাবেক ইউপি সদস্যের ভাগনে। সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা করছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দুটি ঘটনায় তাকে জড়িয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা মিথ্যা। অন্য সবার মতো তিনিও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’