বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াবা-গুলি দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে সিসিটিভিতে ধরা

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪২

গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার জানান, তারা হেয়ার অ্যান্ড ফেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানে গুলি ও ইয়াবা রাখা হয়েছে খবর পেলে তারা অভিযান চালায়। পরে সিসিটিভি ফুটেজে এক যুবককে সোফার নিচে ইয়াবা ও গুলি রাখতে দেখা যায়। তার দেয়া তথ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় আরও চার জনকে।

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানাধীন নাসিরাবাদ এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি ও ইয়াবা দিয়ে ‘ফাঁসাতে’ গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচ জন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার দুপুরে লালদীঘি এলাকার নগর গোয়েন্দা পুলিশ উত্তর বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইফতেখার করিম চৌধুরী, মো. সোহেল, মো. ফয়সাল, নজরুল ইসলাম ও জামাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মুহাম্মদ আলী হোসেন জানান, খুলশী থানাধীন নাসিরাবাদ এমইএস কলেজের সামনে হেয়ার অ্যান্ড ফেয়ার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে গুলি ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শনিবার আমাদের কাছে তথ্য আসে হেয়ার অ্যান্ড ফেয়ার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইয়াবা ও গুলি রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। তথ্য অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের সোফার নিচে থেকে ২০০ পিস ইয়াবা ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি।

‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক ওই প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করি। সিসিটিভি ফুটেজে তখন সেখানে সোফায় বসা এক যুবককে সোফার নিচে ইয়াবা ও গুলি রাখতে দেখা যায়। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘গ্রেপ্তার যুবকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেয়ার অ্যান্ড ফেয়ারের মালিক মো. মান্নান শেখকে ফাঁসানোর জন্য সেখানে ইয়াবা ও গুলি রেখেছে বলে স্বীকার করেছেন। তবে তারা কী কারণে এমন কাজ করেছেন, তা বলেননি। আমরা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’

ফাঁসানোর অভিযোগে এরই মধ্যে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী মান্নান শেখ বলেন, ‘আমার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কয়েকজনের ঝামেলা হয়েছিল। তারা এটি করে থাকতে পারে। তবে যারা ফাঁসানোর চেষ্টার সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের আগে থেকে চিনতাম না।’

এ বিভাগের আরো খবর