মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার উদ্ধার করা হয় ২৩ বছরের যুবক শাহ আলমের মরদেহ। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও সন্দেহ হয় পুলিশের।
মা, বোন ও বোন জামাইসহ চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই সাদেক হোসেন সিকদারের করা হত্যা মামলায় মা হামিদা বেগম, বোন নার্গিস আক্তার ও বোন জামাই সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার বাদী বলেন, ‘আমার মায়ের সঙ্গে ছোট ভাই শাহ আলমের বনিবনা হত না। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হত। সম্প্রতি ছোট বোন নার্গিস তার স্বামীকে নিয়ে এখানে এসে থাকা শুরু করে। তাকে শ্বশুরবাড়ি চলে যেতে বলে শাহ আলম। ‘এর জেরেই তিন জন মিলে ছুরির আঘাতে আমার ভাইকে হত্যা করে। পরে সেটা আত্মহত্যাকে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।’
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিছক আত্মহত্যা নয় এটি প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়। সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা, বোন, বোন জামাই ও বড় ভাইকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে তিন জন হত্যা করার কথা স্বীকার করে।