পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গার লালদিয়ার চরের কয়েক হাজার মানুষ।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পতেঙ্গায় বোট ক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধন করেছেন।
কর্মসূচিতে লালদিয়ার চর রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্ছেদ শুরুর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় গত দুইদিন ধরে অমানবিক জীবনযাপন করছেন প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ লালদিয়ার চরের প্রায় ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করে সেই ভূমি ইজারা দেয় ইনকনট্রেড লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। সেখানে ওই প্রতিষ্ঠান একটি অফডক নির্মাণ করেছে।
লালদিয়ার চরে এখন প্রায় ২ হাজার ৩০০ পরিবারে ১৪ হাজার মানুষ বসবাস করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও ২৫ একর জায়গা উন্নয়ন করে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
চর রক্ষা কমিটির নেতা মো. আলমগীর বলেন, যদি উচ্ছেদ করতেই হয়, তবে পুনর্বাসন অপরিহার্য। লালদিয়ার চরবাসীকেও বিকল্প স্থানে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন- আমরা এ মাটির সন্তান, আমাদের জন্ম এখানে। এখানে মাদ্রাসা আছে, কবরস্থান আছে, বাড়িঘর আছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, ভোটকেন্দ্র আছে। আমাদের উচ্ছেদ করবেন না।’
১৯৭২ সালে কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে সরিয়ে লালদিয়ার চরে পুনর্বাসন করে তৎকালীন সরকার। ১৯৭৫ সালের পর বিভিন্ন আইনি জটিলতার ফাঁকে লালদিয়ার চরের ওই ভূমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বিএস জরিপে লিপিবদ্ধ করা হয়।
উচ্ছেদের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।