বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্যরকম একুশ উন্মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন

  •    
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:২৮

একুশ উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্যোক্তা শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা সুন্দর আয়োজন উদযাপন করছি এক সময় এখানে কেউ দাঁড়াতে পারত না, পরিবেশটা এতই খারাপ ছিল। এখন সে জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষ বই পড়বে। খবরের কাগজ পড়বে, এটাই আমার প্রথম আনন্দ।’

‘আপনার পছন্দমতো একটি বই নিয়ে যান, পড়া শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত দিন’ কথাটি পাঠাগারের দেয়ালে লেখা। তিন তাকের ছোট্ট একটি সেলফ রাখা। প্রতি তাকে ৭টি করে সেলফটিতে রয়েছে ২১টি ভিন্নধর্মী বই।

নেই কোন লাইব্রেরিয়ান বা রেজিস্ট্রার খাতা। বইগুলো আটকে রাখা হয়নি। সবার জন্যই উন্মুক্ত। সেখানে দাঁড়িয়ে পড়া যায়, কেউ বই নিয়েও যেতে পারেন। ২১ দিন পর পর নতুন করে সাজানো হবে পাঠাগারের সেলফটি।

শরীয়তপুরের সদরের পালং সড়কের পাশে শুক্রবার সন্ধ্যায় একুশ উন্মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।

একুশ উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্যোক্তা শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা সুন্দর আয়োজন উদ্‌যাপন করছি এক সময় এখানে কেউ দাঁড়াতে পারত না, পরিবেশটা এতই খারাপ ছিল। এখন সে জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষ বই পড়বে। খবরের কাগজ পড়বে, এটাই আমার প্রথম আনন্দ।’

ইউএনও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আর সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে কোনো দেয়াল নেই। সেটাও এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করেছি।’

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হাফসা খাতুন বলেন, ‘পাঠাগার মানেই কিছু নিয়ম কানুন থাকে, কিন্তু এই পাঠাগারটি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে বই নিতে বা ফেরত দিতে কারও শরণাপন্ন হতে হবে না। নেই কোন সময়ের সীমাবদ্ধতা। তবে লাইব্রেরিটা আরেকটু বড় হলে ভালো হত।’

গ্রাম থিয়েটারের কর্মী রকি আহমেদ এমন একটি লাইব্রেরি উদ্বোধনের কথা শুনে নড়িয়া থেকে ছুটে এসেছেন। বলেন, ‘মোবাইল আর ইন্টারনেটের অতি ব্যবহারে এখন বই পড়া থেকে পাঠক অনেক দূরে। এ রকম ছোট ছোট উদ্যোগ পাঠককে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।’

এ বিভাগের আরো খবর