কুমিল্লার মেঘনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসী ও তার ভাইদের বাড়ি থেকে বিপুল দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
মেঘনার ভাওরখোলা ইউনিয়নে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো পাওয়া যায় বলে জানান হোমনা সার্কেলের জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ভাওরখোলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষে এক নারী নিহত হন। আহত হন চার জন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে দেলোয়ার নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, গত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে চেয়ারম্যান আব্বাসীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের। এর জেরে সংঘর্ষ হয়।
কুমিল্লার মেঘনায় সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে আটক হন এই ব্যক্তি। ছবি: নিউজবাংলা
পরে রাতভর অভিযান চালানো হয় ফারুক আব্বাসী এবং তার ভাই খোকন আব্বাসী, ইমরান হোসেন টিটু ও ইয়ার আব্বাসীর বাড়িতে। সেখানেই পাওয়া যায় ছোট-বড় ছোরাসহ নানা দেশীয় অস্ত্র।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে নিহত নারীর নাম নাজমা বেগম।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি আবদুল মজিদ জানান, শুক্রবার সিরাজুল ইসলাম তার চাচাতো ভাই দিলবরের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। সিরাজুল নির্বাচনি প্রচারে বাড়িতে এসেছেন ভেবে ফারুক আব্বাসীর নেতৃত্বে একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিরাজুলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় নাজমা বেগমসহ ঘরে থাকা সবাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসকরা নাজমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।