সাপ্তাহিক ছুটিসহ ২১ ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে।
জেলার শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে শুক্রবার সন্ধ্যায়ও দেখা গেছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ যানবাহনের একাধিক সারি।
ভোগান্তীতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকও রয়েছে সারিতে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, শুক্রবার ছুটির দিনে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম থাকে। কিন্তু টানা তিন দিন ছুটি হওয়াতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। যাত্রীবাহী ও ছোট গাড়ির চাপ সামলাতে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সাময়িকভাবে পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী যানগুলোর চাপ কমলে সিরিয়াল (সারি) অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পারাপার করতে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই নৌরুটে ছোট-বড় ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাধবীলতা নামের একটি ছোট ফেরি পাটুরিয়া ঘাটের ভাসমান কারখায় মেরামত করা হচ্ছে।
মাহমুদ হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘তিন দিনের ছুটিতে ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি। সারা রাস্তা ভালো ভাবে আসতে পারলেও বিকেলে পাটুরিয়া ঘাটে এসে আটকা পড়ি। এখনও ফেরিতে উঠতে পারিনি।’
সেলিম মিয়া নামের এক বাসচালক জানান, বিকেল ৪টার দিকে ফেরি পারের জন্য পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছান তিনি। কিন্তু পরিবহনের চাপের কারণে সন্ধ্যার দিকে ফেরির টিকিট পান তিনি।
বেনাপোলগামী রুস্তম মোল্লা নামের এক ট্রাক চালক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ঘাটে এসে শুক্রবার সন্ধ্যা হয়ে গেলেও নৌরুট পার হতে পারেনি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। এদের সঙ্গে কিছু ট্রাক পারাপার করা হলে সুবিধা হতো।’