তিন দিনের টানা ছুটিতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
শুক্রবার বিকেলে ঘাটে ছিল ছোট-বড় গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক মিলিয়ে ৭০০ মতো যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট-বড় যানবাহনে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে থাকে ঘরমুখো মানুষ।
তাদের অনেকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোটে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। তবে যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় চাপ কমছে না। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘নদী পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৭০০ যানবাহন। বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষের চাপ ছিল ঘাটে। শুক্রবার সকালে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
‘নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বিভিন্ন ধরনের ১৩টি ফেরি চালু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, যাত্রী পারাপারে ৮৭টি লঞ্চ ও আড়াই শর বেশি স্পীডবোট চলছে নদীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে বসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
ঢাকা থেকে মাদারীপুরগামী বাসযাত্রী সোলাইমান সিকদার বলেন, ‘প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ঘাটে বসে আছি। এখনও ফেরিতে উঠতে পারিনি। আরও কত সময় লাগবে সেটাও জানি না। পরিবারের আরও চার জনকে নিয়ে বাড়ি যেতে নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়েছি।’
যশোরগামী রতন মিয়া জানান, অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরেও তিনি লঞ্চ বা স্পিডবোটে উঠতে পারছেন না।
ফরিদপুরগামী অ্যাম্বুলেন্সচালক নূর হোসেন বলেন, ‘রোগী পৌঁছিয়ে ফিরছিলাম। ঘাটে আটকে রয়েছি অনেক সময় ধরে। কতক্ষণ আরও থাকতে হবে, বলতেও পারছি না।’