বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় কাজ করতে পালিয়ে এসেছিল ওই তিন শিশু

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৫১

সাদুল্যাপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে রোববার ভোরে নিখোঁজ হয় তিন ছাত্র। তাদের দুই জনকে পাওয়া যায় সাভারে ও এক জন ছিল রাজশাহীতে। তারা জানায়, নিজেরাই যুক্তি করে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

গাইবান্ধার একটি মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন শিশুকে রাজশাহী ও সাভারে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাভারের নিশ্চিতপুরে পাওয়া গেছে রবিউল ও শিপনকে। আর রাজশাহীর গোদাগাড়িতে ছিল শরিফ।

বৃহস্পতিবার সকালে তাদের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্যাপুরের আমজাদ হোসেন নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক মেহেদী হাসান।

তিনি জানান, নিজেরাই যুক্তি করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায় ওই তিন জন।

রবিউলের বাবা রশিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, সাভারের নিশ্চিতপুরের ছয়তলা মোড়ে থাকেন তার ভাস্তে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী নারগিস বেগম। মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় রবিউল ও শিপনকে ঘুরতে দেখেন নারগিস। তাদের বাসায় নিয়ে গিয়ে রবিউলের বাবাকে ফোনে এই খবর দেন নারগিস।

রবিউল মুঠোফোনে জানায়, শরিফ তাদের রাজধানীতে হোটেলে কাজ করার জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু ঢাকায় আসার পর তারা হোটেলে কাজ করতে রাজি হয়নি বলে শরিফ তাদের রেখেই বাড়ি ফিরে যায়।

শিপনও একই কথা বলে। সে জানায়, সে নিশ্চিতপুরের একটি মাদ্রাসায় আগে পড়ত। সেখানেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার ও রবিউলের।

এদিকে, রাজশাহীর গোদাগাড়ি থেকে শরিফ নিজেই যোগাযোগ করে তার বাড়িতে। সে বলে, শিপন তাকে ও রবিউলকে ঢাকায় নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে না মেলায় শরিফ বাড়ি ফিরতে চায়। তবে ভুল বাসে উঠে পড়ায় গাইবান্ধার বদলে পৌঁছে যায় রাজশাহীতে। সেখানে এক দোকানদারের ফোন থেকে বাসায় যোগাযোগ করে সে।

তাদের খোঁজ পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মাদ্রাসায়। তিন শিশুর একসঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষকদের দোষারোপ করছিলেন তাদের অভিভাবকরা।

শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, তারা নিজেরাই চলে গেছে। শুধু শুধু আমার ওপর দোষ চাপানো হচ্ছিল।’

রাজশাহী থেকে শরিফ বাবুকে এরই মধ্যে বাড়িতে আনা হয়েছে। নিশ্চিন্তপুরে থাকা রবিউল ও শিপনকে আনতে তাদের পরিবারের লোকজন গিয়েছেন বলে জানান মেহেদী।

তিনি বলেন, শিশুরা সবাই বাড়ি ফেরার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে কেন তারা কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিল।

সাদুল্যাপুরের ওই মাদ্রাসা থেকে রোববার ভোরে নিখোঁজ হয় ১২ বছরের রবিউল ইসলাম, ১১ বছরের শিপন মিয়া ও ৯ বছরের শরিফ বাবু।

এদের মধ্যে রবিউলের বাড়ি সাদুল্যাপুরের তিলকপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে। শিপন একই গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে এবং শরিফ পলাশবাড়ীর আশমতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মাদ্রাসার শিক্ষক মেহেদী হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর