বাগেরহাটের মোংলায় বুধবার রাতে হরিণের চারটি পা, ফাঁদ, দুইটি ছুরি ও একটি নৌকাসহ দুই শিকারিকে আটক করে বনবিভাগ। তারা শিকার করা হরিণের মাংস নদীতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. এনামুল হক নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে মোংলার বৈদ্যমারী ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন ইসহাকের চিলা এলাকায় অভিযান চালান বনপ্রহরীরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই দুই শিকারি জবাই করা হরিণের মাংস নদীতে ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টার করেন।
ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হরিণের চারটি পা, হরিণ শিকারের ফাঁদ, দুইটি ছুরি, রক্ত মাখা পলিথিন ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লা ও ফজলু শিকারি।
তাদের রাতেই চাঁদপাই ফরেস্ট স্টেশনে নেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বন ও বন্যপ্রাণী নিধন আইনে বৃহস্পতিবার সকালে মামলা হবে বলে জানিয়েছেন এসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক) এনামুল হক।
এর আগে ২০ জানুয়ারি বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে র্যাব-০৮। এরপর ২২ জানুয়ারি বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই জনকে আটক করে ডিবি। ২৫ জানুয়ারি খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী খেয়াঘাট এলাকা থেকে ১১ কেজি হরিণে মাংসসহ দুই জনকে আটক করে পুলিশ।
৩১ জানুয়ারি মোংলার দিগরাজ এলাকা থেকে ৪৭ কেজি হরিণের মাংসসহ তিন জনকে কোস্ট গার্ড এবং ২ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের রামপাল থেকে ৪৫ কেজি হরিণে মাংসসহ একজনকে আটক করে ডিবি।