পূর্ব বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ে আসিফ জামান নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বজনদের দাবি, ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার মরদেহ একটি বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। অথচ তার পা দুটি মাটিতে ঠেকানো ছিল।
আসিফের বাড়ি সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকায়। বাড়ির অদূরে একটি বাঁশঝাড় থেকে বুধবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আসিফের বাবা মানিক মিয়ার অভিযোগ, কিছুদিন আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আসমা বেগমের ছেলে আল-আমিন সাগরের সঙ্গে আসিফের ঝগড়া হয়। এর জেরেই তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আসিফকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সাগর। পরে বাড়ি ফিরে আসে। তবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসিফ আবার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে আসেনি। বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে বাঁশঝাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মানিক মিয়া বলেন, কোনো মানুষ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে তার পা শূন্যে ঝুলে থাকে। কিন্তু তার ছেলে আসিফের পা দুটি মাটিতে লেগেছিল। এভাবে আত্মহত্যা করা কোনোভাবেই সম্ভব না। তার ধারণা, আসিফকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহ বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।