শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে করা দুটি মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছে নড়াইলের একটি বিচারিক আদালত।
বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তারি পোরোয়ানার এ আদেশ দেন সদর আমলি আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদ।
২০১৫ সালে নড়াইলে মামলা দুটি করেন শহিদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ।
একটি মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের সংখ্যা নিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। ওই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন।’
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়।
অপর মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আমাদের মতো নির্বোধরা শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়, না দিলে আবার পাপ হয়।’
ওই বক্তব্যের চার দিন পর একই আদালতে কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন আশিক বিল্লাহ।
মামলা দুটির সমন জারি হয়ে ফেরত আসায় এবং আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।