কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়নে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় উপজেলা বিএনপির ১০৯ নেতা-কর্মীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সায়েদুর রহমান খান বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১১২ আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তিন জনকে জামিন দেয়। তারা হলেন আইনজীবী তানভীর আহম্মেদ রিয়াদ, জয়নাল আবেদীন ও চপল মিয়া। বাকি আসামিদের জামিন নাকচ করে আদালত।
রিয়াদ আইনজীবী, জয়নাল আবেদীন বয়স্ক ও চপল মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় জামিন দেয়ার কথা জানায় আদালত।
১০৯ আসামির মধ্যে ইটনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসেম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম অপু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবেদ খান, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলামও রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম রতন জানান, গত বছর ইটনা উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলনে পুলিশ বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ১৯ ডিসেম্বর মামলা করেন ইটনা থানার বাদলা তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তাওহীদ বিশ্বাস।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর রায়টুটী ইউনিয়নের গাঙ্গেরহাটি এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবু মিল্কির বাড়িতে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অরাজকতার উদ্দেশ্যে গোপন সমাবেশ করছে বলে খবর পায় পুলিশ। পরে এএসআই তাওহীদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, উপস্থিতি টের পেয়ে সমাবেশে থাকা নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এএসআই তাওহীদ, এএসআই শাহীন মাতুব্বরসহ আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তারা ওই জায়গা থেকে বের হন। ১৯ ডিসেস্বর এএসআই তাওহীদ বিশ্বাস বাদী হয়ে ১২০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা করেন।