নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর পাঁচ সদস্যকে ১৫ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দেড় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জামালপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির বুধবার দুপুরে এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন সাইদুর রহমান, আক্কাস আলী, সাইদুল মিয়া, মো. রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হক। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের বন্ধ চিতলিয়া গ্রামে।
তাদের মধ্যে রুকনুজ্জামান জামিন নিয়ে পলাতক।
মামলায় বলা হয়, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই রাতে সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের বন্ধ চিতলিয়া গ্রামে জেএমবি সদস্যরা বিস্ফোরক সংগ্রহ করে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন খবর পায় র্যাব।
এ খবরের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ র্যাব-৯ এর কোম্পানি-২ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য কারী সাইদুর রহমান, আক্কাছ আলী, সাইদুল মিয়া, রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাইপের টুকরা, কাচের বোতল, বিস্ফোরক দ্রব্য ও জেহাদী বই উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় র্যাবের ওই কোম্পানির উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) জাহাঙ্গীর আলম জামালপুর মামলা করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়।
নয় জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। মামলায় আসামিপক্ষে ছিলেন জাবেদ আলী।
এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ খাজা আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিরা প্রত্যেকেই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।’
তবে দণ্ডিত আজিজুল হকের স্ত্রীর বড় বোন মোসাম্মত ফাতেমা বলেন, ‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।
তার দাবি, দণ্ডিতরা কেউ জেএমবি করে না। তাদের ফাঁসানো হয়েছে।