জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি সরস্বতী পূজামণ্ডপে মদ খেয়ে মারামারি ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরিষাবাড়ী থানার পাশে ইস্পাহানি আবাসিক এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় মণ্ডপ কমিটির সভাপতিসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় মণ্ডপের মঞ্চ।
এ ঘটনার পরপরই হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক মানুষ থানা রোড ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন।
শুভ চন্দ্র গৌড় নামের এক জন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে পূজামণ্ডপে ভক্তরা পূজা-অর্চনা ও নাচগান করছিলেন। এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ফারুক ড্রাইভার ও নান্টু ড্রাইভারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল মাদকাসক্ত অবস্থায় লাঠি নিয়ে মণ্ডপে হামলা চালায়।’
তিনি অভিযোগ করেন, ওই দলটি তাকে মারধর করে। মেয়েদেরও হেনস্তা করা হয়।
পূজা কমিটির সভাপতি সুকুমার ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, হামলাকারীরা অতর্কিত নারী-পুরুষদের মারধর শুরু করে। তিনি ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে পূজা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।
তিনি দাবি করেন, হামলায় তিনি ছাড়াও শুভ চন্দ্র গৌড়, বিজয় চন্দ্র গৌড়, কৃষ্ণ বর্মন, লাভলী চন্দ্র গৌড়, মায়া রানী গৌড়, অঞ্জনা চৌহান, গীতা, শান্তি, রঞ্জন, রঞ্জু, বেজাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।