বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাগজে লুকিয়ে সিগারেট আমদানির চেষ্টা

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৭

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে প্রায় ১১ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা।

কাগজের ভেতর লুকিয়ে বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট আমদানির ঘটনায় একটি চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।

এ চালানে ২৩ হাজার কার্টনে ৪৬ লাখ শলাকা ইজি এবং মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। পণ্য চালানটিতে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য সিগারেট আমদানি করে প্রায় ১১ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা হয়েছে।

কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান করিম ট্রেডিং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজ ঘোষণায় এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে।

পণ্য চালানটি খালাসের লক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুরমা এন্টারপ্রাইজ কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রপ্তানিকারক, তৈরি দেশ প্রভৃতি এনালাইসিস করে এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি লক করে রাখে।

এরপর রোববার রাতে নিয়ম অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষা শুরু করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর টিম। এ সময় কনটেইনারের সামনের দিকে রাখা কাগজ দেখিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

কনটেইনারের ভেতরের পণ্য বের করার জন্য সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিকে অনুরোধ করলে তারা গড়িমসি শুরু করে এবং একপর্যায়ে কায়িক পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য পাল্টা অনুরোধ করে।

সহকারী কমিশনার রেজাউল জানান, এর পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টম কমিশনারের নির্দেশে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, বন্দর ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রাতেই পণ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয় এআইআর শাখা।

কনটেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে যার উপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং পরবর্তী ৩৬ কার্টন খুলে উপরে এক রিম এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়।

কাগজের নিচে আলাদা একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট। কনটেইনারের প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল শুধুই কাগজ। কিন্তু নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী ৪৮টি প্যালেটে পাওয়া যায় লুকানো সিগারেট।

রাত আনুমানিক ২টায় শেষ হওয়া পরীক্ষায় ৪৬ লাখ সিগারেট পাওয়া যায়। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল ইসলাম।

এ সময় তিনি দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় কাস্টমস আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর