গৃহস্থের বাড়িতে ছিল না কেউ। সে সুযোগে তালা ভেঙে শয়নকক্ষে প্রবেশ। কিছুটা জিরিয়ে নিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে ডিম ভাজি খাওয়া। সে পর্ব চুকিয়ে রাতে বিশ্রাম। দিনের আলো ফোটার আগেই মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট।
মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে রোববার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষকের নাম পংকজ আইচ। তিনি পৌরসভার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
পংকজ জানান, রোববার রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি। সে রাতের কোনো এক সময় চোরের দল তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢোকে। গরম ভাত ও ডিম ভেজে খাওয়া-দাওয়া করে। রান্নাঘরে ছড়িয়ে থাকা থালাবাসন ও উচ্ছিষ্ট অংশ দেখে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন।
তিনি জানান, বিছানা এলোমেলো ও বিড়ির প্যাকেটসহ সারি সারি বালিশ পাতা দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে চোরেরা খেয়ে ঘুমিয়েছে। ঘরের আলমারি ভাঙা পাওয়া গেছে। ভেতরের জিনিসপত্র ছিল তছনছ অবস্থায়।
চোরেরা টাকা, পানি তোলার মোটর, গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে গেছে বলে জানান পংকজ। তিনি জানান, মাস ছয়েক আগেও এই বাসায় একইভাবে চুরি হয়।
প্রতিবেশী হাসমত মিয়া জানান, ওই বাড়িটি ফাঁকা জায়গায়। এ জন্য বারবার চুরি হচ্ছে। তবে রান্না করে খেয়েদেয়ে ঘুমানোর ঘটনা অবাক করার মতো বিষয়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাকে বলেন, চুরি সম্প্রতি বেড়ে গেছে। তবে তারা মাঝেমধ্যেই এই চক্রকে ধরার চেষ্টা করছেন।