কুমিল্লার মুরাদনগরে বন্ধুকে নিয়ে ঘরে বসে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রী আঁখি আক্তারকে তার স্বামী সুমন মিয়া বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগে করা মামলায় সুমন মিয়া এবং তার বন্ধু সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, সন্ধ্যায় বসত ঘরে সুমন ও সাদ্দাম মাদক সেবন করতে চাইলে আঁখি বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন বটি দিয়ে কুপিয়ে আঁখি আক্তারকে আহত করেন। প্রতিবেশীরা তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত দেড়টায় আঁখি মারা যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা বলেন, মাদক সেবনে বন্ধুর সামনে বাধা দেয়ায় ৩০ বছর বয়সের সুমন মিয়া ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী আঁখি আক্তারকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার সময় সাদ্দাম তাকে সহায়তা করেন। গ্রেপ্তারের পর সুমন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের মা খোরশেদা বেগম রোববার বিকেলে মুরাদনগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
স্বজনরা জানান, পরমতলা গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তারকে ১২ বছর আগে বিয়ে করেন পাশের দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া। কিছুদিন পরই আঁখি টের পান তার স্বামী মাদকাসক্ত। স্বামীকে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনতে স্বজনদের নিয়ে চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম হয়। কিন্তু মাদক থেকে ফিরে আসেননি সুমন। এক পর্যায় তার বন্ধু একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে মাদক সেবনে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, হত্যায় জড়িত দুই জনকে শনিবার গভীর রাতে আটক করা হয়। সোমবার তাদের আদালতে নেয়া হবে।