বগুড়ার ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। আলাদা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের ইকবাল হোসেন রিপন (৩০) ও অফিসারপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদত হোসেন (৪৫)।
সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে একটি মামলা করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক। এতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ ১৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আতিক বগুড়া-৫ আসনের সাংসদ হাবিবর রহমানের অনুসারী।
অপরদিকে, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হারুন বাবু বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহসহ ১৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হারুন বাবু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিকের অনুসারী বলে পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা জমায়েত হয়। সেখানে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, পৃথক দুটি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।