১১ বছরের শিশুটি যখন মাদ্রাসায় যেত, তখন এক ব্যক্তি রাস্তায় তার জন্য অপেক্ষা করতেন। জোর করে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করতেন। এরপর শিশুটিকে ভয় দেখাতেন। দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটলেও শিশুটি চুপচাপ ছিল। শুক্রবার আবারও একই ঘটনা ঘটলে শিশুটি তার মা-বাবাকে এটি খুলে বলে।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার একটি এলাকায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে শিশুটি তাকে একাধিকবার বলাৎকার করা হয়েছে বলে জানায়। এরপর ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক সাহা জানান, একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে শিশুটি। ওই ব্যক্তি কয়েকবার তাকে বলাৎকার করেছেন। সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি শিশুটি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে মাদ্রাসার ময়লা ফেলতে গেলে ওই ব্যক্তি একটি বালুর স্তূপের ভেতর নিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করেন। এ ঘটনার পর ছেলেটি মাদ্রাসায় যেতে না চাইলে তার কারণ জানতে চায় শিশুটির বাবা-মা। তখন শিশুটি তার বাবা-মাকে সব জানায়।
ওসি আরও জানান, শিশু বলাৎকারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় শিশুটিকে একাধিকবার বলাৎকারের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন শিশুর বাবা। পুলিশ সেই মামলায় শুক্রবার রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, ১১ বছরের শিশুটি আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।