আজ রোববার পয়লা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিন অনেকে প্রিয়জনদের ফুল উপহার দেন। তাই ফুলের কদর বাড়ে।
এ জন্য আগের দিনই ব্যস্ত হয়ে ওঠে ফুলের বাজার। শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনাড় পাড়ে দেখা গেছে, ফুলের দোকানগুলোতে ভিড়। নির্ধারিত দোকানের বাইরে রাস্তার পাশে পসরা সাজানো হয়েছে।
গোলাপ, রজনীগন্ধা, লিলি, গাঁদা, জিপসি, রঙ্গন, জারবেরা, কাঠমালতি, অর্কিডসহ অসংখ্য ফুল সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
করোনা অতিমারির আশঙ্কায় বেশ কয়েক মাস ফুলের বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। পরে ফুলের বাজারের বিক্রেতারা দোকান খুলে বসলেও, ক্রেতার দেখা পাননি। এরপর ঈদ ও নববর্ষ এলেও করোনার সংক্রমণের হার বেশি থাকায় বিকিকিনি একেবারেই কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কম হওয়ায় এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার ফুল বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ফুলের মেলা নামের একটি দোকানের মালিক মো. সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দিন পর বেচাকেনা অনেক ভালো।’
ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উপলক্ষে রোববার অনেক ফুল বিক্রির আশা করছেন তিনি।
পুষ্প মেলা দোকানের মালিক মো. মূসা মিয়া বলেন, ‘আমি ১০/১২ বছর ধরে ফুল বিক্রি করি। বিশেষ দিনে বেশি বেচাকেনা হয়। ভালো লাভ হয়। এই দিনে ফুলের চাহিদা বেশি হওয়াই দাম একটু বেশি। কিন্তু বিশেষ দিন উপলক্ষে ক্রেতারা দাম একটু বেশি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করে না।
অনুপ দাস নামের আরেক দোকানি বলেন, এ বছর ক্রেতার সংখ্যা কম। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধু থাকায় ফুলের ব্যবসা মন্দা।
আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী এলমিনা আক্তার কনা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর একটা দিবসে হাঁফ ছেড়ে কিছুটা আনন্দ উপভোগের সুযোগ হয়েছে। তাই ফুল কিনতেছি। কাল রোববার শাড়ি পরে বন্ধুদের সাথে বের হব।’
ফুল কিনতে আসা আরাফাত রাহমান এ্যারি বলেন, ‘এই ফাল্গুনে অন্তরের প্রত্যেকটি বেদনা পুড়ে যাক।’
কথা হয় ফুল কিনতে আসা আবু রায়হান-শাহনাজ দম্পতির সঙ্গে। তারা বলেন, ‘এটা আমাদের বিবাহিত জীবনের দ্বিতীয় বসন্ত। একটা বৈশ্বিক মহামারির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বিগত বছর পার করেছি। এইবার পৃথিবীটা কিছুটা শান্ত হওয়াতে আমরা পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনতে বের হইছি। ফুল কিনতেছি। খুব ভালো লাগছে।