নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদ ও চাষাঢ়ায় বাগে জান্নাত জামে মসজিদ-মাদসারা উচ্ছেদ করে সেখানে সিটি করপোরেশন মার্কেট নির্মাণ করবে, এমন অভিযোগ তুলে মেয়রের সমালোচনা করেছেন হেফাজত নেতারা।
সিটি মেয়র এ পথ পরিহার না করলে, নগরভবন ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতের নেতারা।
ওলামা পরিষদের ব্যানারে শুক্রবার জুমার নামাজের পর চাষাঢ়ায় বাগে জান্নাত মসজিদের সামনে সমাবেশে নেতারা এই হুঁশিয়ারি দেন।
‘মাসদাইর কবরস্থান হাফিজিয়া মাদরাসা বিলুপ্তির’ জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয় সমাবেশে।
তবে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বলেছেন, সিটি করপোরেশন এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
সমাবেশে মহানগর হেফাজতের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘মেয়র আইভীকে আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। আপনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। মসজিদ-মাদরাসা আপনি হাত দিতে পারবেন না। যদি হাত দেন তাহলে পুরো নারায়ণগঞ্জবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আপনাকে মোকাবিলা করা হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের ডিআইটি মসজিদটি রেলের জায়গায় এবং ও চাষাঢ়ায় বাগে জান্নাত জামে মসজিদ মাদরাসাটি করা হয়েছে সিটি করপোরেশন জায়গায়।
মসজিদ-মাদরাসা দুটি ভাঙার বিষয়ে প্রথমে কথা বলেন ডিআইটি মসজিদের ইমাম ও নারায়ণগঞ্জ হেফাজতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আওয়াল। গত শুক্রবার মসজিদের বয়ানকালে তিনি বলেছিলেন, ‘শুনতে পাচ্ছি, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মসজিদ ও মাদরাসা ভেঙে মার্কেট নির্মাণ করবে।’
ওই প্রসঙ্গ টেনে মেয়রের উদ্দেশ্যে হেফাজত নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘আপনি ডিআইটি মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে ফোন দেন, হস্তক্ষেপ করতে চান। আমরা আপনার (মেয়র) সাথে খেলতে চাই, আপনার সাথে ওপেন খেলা হবে। সিটি-মিটি বুঝি না, জনগণের বাইরে গেলে আপনাকে উচিত জবাব দেয়া হবে।’
মেয়রের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মসজিদ-মাদরাসা ভাঙবেন, তা আমরা মানব না। প্রয়োজনে আমরা কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করব।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মহানগর ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা কামাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহসহ অনেকে।
বক্তরা বলেন, মেয়র ওই পথ পরিহার না করলে, নগরভবন ঘেরাও করা হবে। কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নিউজবাংলাকে বলেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত সিটি করপোরেশন নেয়নি। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে।