মৌলভীবাজারের তামিম রিসোর্টে বেড়াতে আসা দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে রেস্ট হাউজটির দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- সিলেটের কানাইঘাটের চন্ডিপাড়ার ২৩ বছর বয়সী রেজওয়ান ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিরাইমপুর এলাকার ২৭ বছর বয়সী খালেদ মিয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে যান এক দম্পতি। রাত্রী যাপনে তারা উঠেছিলেন মৌলভীবাজার সড়কের তামিম রিসোর্টে। রিসোর্টের দুই কর্মচারী টিস্যু বক্সে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করেন। এ বিষয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা করেন ওই দম্পতি। বৃহস্পতিবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এক জনকে কানাইঘাট থেকে ও অপরজনকে শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন নিউজবাংলাকে জানান, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই রাতে ওই ভিডিও ধারণের কিছু দিন পর ইমুতে ফোন করে বলা হয়, তাদের মেলামেশার ছবি ও ভিডিও আছে। এ বিষয়ে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে বলেই লাইন কেটে দেয়া হয়। এরপর ২১ অক্টোবর ‘নাদিরা আক্তার রুমি’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ম্যাসেঞ্জারে তাদের মেলামেশার ছবি পাঠানো হয়। পাশাপাশি ইমুতে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়া হয়, এসব ছবি ও ভিডিও ফেরত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। না দিলে সেগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এরপরও তারা টাকা না দিলে তারা তাদের বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনের ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যে গিয়ে সেই ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তারা মামলাটি করেন।
এসআই আল আমিন জানান, গ্রেপ্তারের সময় রেজওয়ান ও খালেদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়; যেগুলোর মধ্যে ওই ছবি ও ভিডিও ছিল।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক জানান, এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।