বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানিকগঞ্জে পুলিশের হাতে ‘লাঞ্ছিত’ সাংবাদিক

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:০২

রাতে আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয় সাংবাদিক আরিফুলের। এক পর্যায়ে তাকেও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক সাংবাদিকের লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সাব্বির দৈনিক মানবকণ্ঠের সাভার উপজেলার সংবাদদাতা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডি’র প্রতিবেদক। ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক সাব্বির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাটুরিয়ায় আমার বন্ধু মাহবুবের বাসায় বেড়াতে যাই। আমরা কয়েকজন মিলে রাত ১২টার দিকে মাহবুবের বাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে গল্প করছিলাম। এ সময় কিছু দূরে মাহবুবের এক স্বজনকে পুলিশ জোরপূর্বক থানায় নিয়ে যাচ্ছে দেখি। বিষয়টি জানতে দৌড়ে এগিয়ে গেলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন “ওই দৌড়াস কেন?”

উত্তরে ওনাকে বলি, তুই-তুকারি করে কথা বলছেন কেন?' এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পোশাক পরা আমাকে “তুই” বললি কেন? আসামি ছিনিয়ে নিতে চাস… বলেই আমাকে ধাক্কা দিতে থাকেন।’

আরিফুল আরও বলেন, ‘সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরেও আমার শরীরে হাত তোলে। এ সময় এক কনস্টেবল পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। সেই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে আমাকে অটোরিকশায় তুলে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলমের কাছে নিয়ে যান। পরে অবশ্য ওসি পুরো বিষয় শুনে দুঃখ প্রকাশ করে তার গাড়িতে করে আমাকে বাসায় পৌঁছে দেন।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাভার উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মচারী মাহবুব আলম বলেন, ‘আরিফুল আমাদের এলাকায় ওরশ দেখতে এসেছিল। আমার এক আত্মীয়কে পুলিশ টাইনা হ্যাঁচড়াইয়া নিয়া যাইতেছিল। আমরা আগাইয়া দেখতে যাই একটা মানুষকে কেন এইভাবে টাইনা হ্যাঁচড়াইয়া নিয়া যাইতেছে। জিজ্ঞাসা করেছি, ওনারে ওইভাবে নিয়া যাইতেছেন কেন? তার পরেই পুলিশ আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। সেখানে চার জন পুলিশ ছিল। এক পর্যায়ে এএসআই বলে, “অই (আরিফ) আসামি ছিনতাই করতে আসছে, অরে নিয়া চল।”’

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সাটুরিয়ায় থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিয়া উজ্জ্বল। অভিযুক্ত বাকি দুই পুলিশের পরিচয় জানা যায়নি।

এ প্রশ্নে অভিযুক্ত এএসআই মিয়া উজ্জ্বল বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়েছিলাম। অন্ধকারে কিছুই তো দেখা যায় না। এমন সময় ওই (সাংবাদিক) দৌড়ায় আসে। আমি বলছি, কে আপনি? আমি যে পুলিশের পোশাক পরা তা কি দেখা যায় না। তখন উল্টো আমারে জিজ্ঞাস করে তুই কেডা? আমি বললাম, আমি তো পুলিশ, আসামি ধরতে আইছি। তখন তিনি বলেন, আসামিরে ছাইড়া দে তুই। কথার এক পর্যায়ে আমি তাকে থানায় আসতে বলি।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, দুজনের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘রাত্রি তো তখন সাড়ে ১২টা বাজতেছিলো। সে (সাংবাদিক) ভাবছে আসামি জোর করে নিয়া আসতেছে। তখন একটু দুইজনের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হইছে। আমি যতটুকু পারছি দুইজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর