শরীয়তপুরের জাজিরায় স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ভিডিওর অভিযোগ উঠেছে দুইজনের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের এ অভিযোগ এনে গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে ৫০ বছর বয়সী এক লোককে দোররা মেরে মীমাংসা করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে সালিশ বসানোর সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে ৫০ বছর বয়সী ওই লোককে। তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান।
এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার ওই গৃহবধূকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন ওই লোক। ৬ ফেব্রুযারি ওই নারীর স্বামী বাজারে যান। এই সুযোগে রাত ৯টার দিকে তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।
মামলায় বলা হয়, তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করার সময় ঘটনাটি জানালা দিয়ে মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তার সহযোগী। বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সালিস বৈঠক ডাকা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে না জানিয়ে আয়োজন করা সালিশে ফতোয়া দিয়ে ৫০ বছর বয়সী ওই লোককে দোররা মারার নির্দেশ দেয়া হয়। ২০ দোররা মারার পর তাকে মাফ করে দিয়ে সালিশ বৈঠকে ঘটনার মীমাংসা টানা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক মিন্টু মণ্ডল ঘটনা তদন্তে ওই এলাকায় যান। পরে ওই নারী বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি চার জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জাজিরা থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান জানান, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিনি পলাতক রয়েছেন। মামলায় ওই ব্যক্তির সহযোগী এবং সালিশ বৈঠককারী স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও এক মাদবরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।