ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পাওনা টাকার জন্য বাজারের মধ্যে যুবলীগ নেতার মারধরের অপমান সইতে না পেরে এক মাছ ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও ফটিয়াপড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে।
তারা জানান, পাওনা এক হাজার টাকার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পৌকানপুর বাজারে মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে মারধর করেন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দীন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে দোকান থেকে ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট খান গফুর।
তার স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, ‘সকালে যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীন দুই বার টাকা চাইতে বাড়িতে আসেন। আমার স্বামীকে না পেয়ে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে বাড়ি থেকে রেগে বেরিয়ে যান। এরপরে স্থানীয় বাজারে দেখা হলে বাজারের লোকজনের সামনে তাকে মারপিট করেন।’
প্রতিবেশী নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গফুরকে বাঁচানোর জন্য বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতাল ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার জানায়, গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়া রোগীকে বাঁচানো সম্ভব নয়। আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বিকেল ৩টায় মারা যান গফুর।’
নাসিরুল দাবি করেন, হাসপাতাল থেকে আনার সময় গফুর একটি ভিডিওতে বলে গেছেন, টাকার জন্য প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও মারপিটের অপমান সহ্য করতে না পেরে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীনের বাড়িতে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক হাবিবুল হক প্রধান বলেন, ‘মোবাইলে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’