বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে উত্তপ্ত মির্জাগঞ্জ-গলাচিপা

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:০৬

জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা পদবঞ্চিতদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা-উপজেলার জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একটি মহলের আসকারায় পদবঞ্চিতরা অপপ্রচার চালিয়ে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করছেন।

ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও গলাচিপা উপজেলা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ৯ ফেব্রয়ারি মধ্যরাতে ঘোষিত দুই উপজেলার কমিটিতেই বিতর্কিতদের জায়গা করে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন পদবঞ্চিতরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। দুই দিন ধরে এ অবস্থা চললেও জেলা বা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা পদবঞ্চিতদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা-উপজেলার জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একটি মহলের আসকারায় পদবঞ্চিতরা অপপ্রচার চালিয়ে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করছেন।

পটুয়াখালী জেলা কমিটি গত ৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের অনানুষ্ঠানিক এই কমিটি ঘোষণার পরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পদবঞ্চিতরা। নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বুধবার উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংর্ঘষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। কমিটি বাতিল দাবিতে বুধবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ কর্মসূচিও পালন করেন তারা।

গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব মৃধা বলেন, ‘মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাতে অছাত্র, জামায়াত-বিএনপির নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দেয়া হয়েছে। তাই আমরা ওই অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছি। কিন্তু পুলিশ অহেতুক আমাদের মিছিলে লাঠিচার্জ করে ১০ জনকে আহত করে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জাগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহআলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।’

একই রাতে ঘোষিত গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়েও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হয়েছে পাল্টা-পাল্টি মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন। কমিটির দ্বন্দ্ব নিয়ে বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শরিফ আহম্মেদ আশিব বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে বৈধ কমিটি ভেঙ্গে অবৈধভাবে ছাত্রলীগের কমিটিতে অনুপ্রবেশ করেছে, যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

পৃথক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমন্বয়ে আমাদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।’

দুই উপজেলার পদবঞ্চিত ও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক।

তাদের ভাষ্য, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২০ বছর, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৮ বছর ছাত্রলীগের কমিটি নেই। গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদও শেষ। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং জেলা-উপজেলার জ্যেষ্ঠ দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান শিকদার বলেন, ‘একটি কুচক্রি মহলের আসকারায় পদবঞ্চিতরা অপপ্রচার চালিয়ে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর