বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে পিটুনির শিকার, মৃত্যু হাসপাতালে

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:৫৮

এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি আসিফ হোসেন সজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নওগাঁয় সোমবার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে হামিম হোসেন নামের এক কলেজছাত্র পিটুনির শিকার হন। ‍বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি আসিফ হোসেন সজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, নওগাঁ সদরের উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হামিম হোসেন রাজশাহী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সোমবার চট্টগ্রাম থেকে নওগাঁয় চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে আসেন। ওই দিন দুপুরে নওগাঁ শহরে তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান।

শহরের চকমুক্তার এলাকার বাসিন্দা আসিফ হোসেন সজলের নেতৃত্বে তার সহযোগী মো. সুরুজ, প্রান্ত হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ জন মিলে হামিমকে মারধর করেন। এ সময় ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে হামলাকারীরাই হামিমকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে রেখে আসেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হামিমকে রাজশাহীর রয়্যাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোরে হামিমের মৃত্যু হয়।

মামলার প্রধান আসামি আসিফ হোসেন সজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সজল ওই মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হামিমের বাবা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘একটি মেয়ের সাথে আমার ছেলে দেখা করতে যায় শহরের রুবির মোড়ে। এ সময় আমার ছেলেকে বখাটে আসিফ হোসেন সজলসহ কয়েকজন ইট ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রাজশাহীর রয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে আমার ছেলে মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় মামলা করেছেন।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর