বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়ির ছাদে ছাতিম, হিজল, অশোক

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:২৮

ছেলেমেয়েদের গাছের সঙ্গে পরিচয় করানো ও সবুজের মধ্যে বড় করা ছিল মাহফুজা আক্তার এলিজা ও তার স্বামী ফয়েজ আহমেদ চৌধুরীর লক্ষ্য। তাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাসারী এলাকায় পাঁচতলা বাড়ির ছাদে গড়ে তোলেন বনসাই বাগান।

বাড়ির ছাদে ছাতিম, হিজল, তমাল, অশোক কী নেই! তবে বিরাট বৃক্ষ নয়, এগুলোকে রাখা হয়েছে বনসাই করে।

প্রায় হাজার রকম গাছ আছে চিকিৎসকদম্পতি মাহফুজা আক্তার এলিজা ও ফয়েজ আহমেদ চৌধুরীর ছাদে।

তাদের লক্ষ্য ছিল সন্তানদের গাছের সঙ্গে পরিচয় করানো, একটু সবুজের মধ্য লালন-পালন করা। তাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাসারী এলাকায় পাঁচতলা বাড়ির ছাদে গড়ে তোলেন বনসাই বাগান।

বর্তমানে এখানে প্রি বনসাই থেকে প্রায় ত্রিশ বছর বয়সী গাছ আছে। এগুলোর দাম ২ থেকে ৫ লাখ টাকা।

দন্ত চিকিৎসক এলিজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৫ সালের দিকে দুটি বনসাই কিনেছিলাম। এরপর বনসাইয়ের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়। আমার স্বামীও গাছের প্রেমে পড়েন।

‘বনসাই তো অনেক অনেক বছর বেঁচে থাকে। আমি যদি বনসাইকে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে পারি তাহলে অনেক ভালো লাগবে। তারা সবুজের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। তাদের শরীর ভালো থাকবে।’

নিজের ছাদবাগানে এলিজা। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি জানান, তারা ভারত, মালয়েশিয়া, আফ্রিকা থেকে নার্সারির মাধ্যমে বনসাই আনিয়েছেন। ১৮ শত বর্গফুটের ছাদ ভরে আছে গাছে। বনসাইয়ের পাশাপাশি আছে নানা ধরনের ফুল, ফলসহ ঔষধি গাছও।

তার স্বামী ফয়েজ নিউজবাংলাকে জানান, বিশেষ প্রক্রিয়ায় গাছকে নির্দিষ্ট আকার দেয়ার পরিচর্যা থেকে শুরু করে নানাভাবে স্ত্রীকে সহযোগিতা করেন। বনসাই করতে অনেক ধৈর্য লাগে। নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করতে হয়।

তিনি বলেন, ‘বাগানে প্রায় ১০ লাখ টাকার গাছ এনেছি। কয়েক বছর পর এগুলোর দাম পাঁচ গুণ বাড়বে। তবে বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই।’

ছাদবাগানে গাছের পরিচর্যা করছেন ফয়েজ। ছবি: নিউজবাংলা

শুধু এলিজা আর ফয়েজই নন, ফয়েজের বাবা সাবেক কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাসারও গাছ ভালোবাসেন। সকাল-বিকেল তিনি এই বাগানেই সময় কাটান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার অনেক ইচ্ছে ছিল বাগান করার কিন্তু করতে পারিনি। আমার ইচ্ছে পূরণ করেছে ছেলে ও তার স্ত্রী।’

আবুল বাসার আরও বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ির ছাদে বাগান করা দরকার। বাগান করলে পরিবেশের জন্য, দেশের জন্য ভালো হবে।’

যেসব গাছ আছে চিকিৎসক দম্পতির ছাদে

এলিজার ছাদবাগানে আছে ছাতিম, হিজল, তমাল, অশোক, নাগলিঙ্গম, আফ্রিকান বাউববসহ নানা প্রজাতির বট গাছ। প্রায় ৫০ রঙের বিদেশি এডেনিয়ামর। তার সঙ্গে আছে বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট, ইউফোরবিয়া, অর্কিড, পাম ও বাঁশসহ ঔষধি গাছ। বাদ যায়নি দেশি আম, কামরাঙ্গা, তেঁতুল, নারকেল, লেবু, আতা, আমড়াসহ বিভিন প্রজাতির গাছ। এগুলোর সঙ্গে সুগন্ধ বিলিয়ে যাচ্ছে কামিনী, করবী, জুঁই, টগর, ক্যামেলিয়া, জবা, কাঠমালতী, রঙ্গন ও জুঁই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ছাদবাগান দেখেছেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশবাদী আন্দোলনের সভাপতি এ বি সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ‘নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের লাইভে বনসাই বাগানটি দেখলাম। আমি অনেক আনন্দিত হয়েছি যে আমাদের নারায়ণগঞ্জে এ ধরনের নান্দনিক বাগান আছে। এ দেশে তাদের মতো আরও বৃক্ষপ্রেমী প্রয়োজন। তাহলে দেশে গাছের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রতিটি বাড়িতে দেখা যাবে সবুজ।

এ বিভাগের আরো খবর