ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় আকলিমা বেগম নামের এক গৃহবধূর মরদেহ বৃহস্পতিবার তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূর গলায় দড়ি বাঁধা ছিল। তবে মরদেহটি মেঝেতে রাখা ছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন থানা-পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেন। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে একে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন।
আকলিমা বেগম তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের নতুন হাট এলাকার মো. ফরহাদের স্ত্রী।
তার বাবা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ৯ বছর আগে ফরহাদের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ফরহাদ নানা অজুহাতে আকলিমাকে মারধর করতেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার আকলিমার শ্বশুরবাড়িতে সালিশ হয়। কিন্তু নির্যাতন থেকে বাঁচতে পারেননি তার মেয়ে। গত মঙ্গলবারও আকলিমাকে মারধর করেন ফরহাদ। এ নিয়ে বুধবার সালিশ হয়। কিন্তু ওই রাতেই আকলিমাকে ফরহাদ, তার বাবা বাবুল ও মা সানোয়ারা বেগম হত্যা করে গলায় দড়ি বেঁধে মরদেহ ঘরের ভেতরে রেখে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন ও ইউপি সদস্য বাবুল জানান, আকলিমা বেগমকে তার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা মারধর করতেন। নির্যাতনের ঘটনায় বুধবারও ওই বাড়িতে সালিশ হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জিয়াউল হক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।