ঝিনাইদহে আদালতে ভিকটিমকে বিয়ে করে জামিন পেল ধর্ষণ মামলার এক আসামি।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু আহসান হাবিব এই জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে, জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে এই বিয়ে হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নুরুল, মেয়ে ও ওই আসামির পক্ষের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নুরুল জানান, নাজমুল ধর্ষণ মামলায় এক বছর এক মাস কারাগারে ছিল। সে সময়ই দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি জামিন আবেদন করা হয়। বুধবার শুনানির দিন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিয়ের আদেশ দেয় আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুই বছর আগে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকার ১৮ বছর বয়সী নাজমুল হোসেনের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি নাজমুল ওই ছাত্রীর বাড়ি যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় নাজমুল তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নাজমুলকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মামা সেদিনই নাজমুলের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
এর আগে ২০ জানুয়ারি ও ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাজশাহী, ২১ ডিসেম্বর ঝালকাঠি, ৩০ নভেম্বর ফেনী, ২৪ নভেম্বর কুমিল্লা এবং ১৯ নভেম্বর নাটোরে আদালতে বিয়ে করে ধর্ষণ মামলায় জামিনের ঘটনা ঘটে।
- আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্তের সঙ্গে বাদীর বিয়ে বৃহস্পতিবার
- আরও পড়ুন: বিয়ে করলে জামিন
- আরও পড়ুন: কারা ফটকে বাদী-আসামি বিয়ে
- আরও পড়ুন: ধর্ষণের আসামির সঙ্গে আদালত চত্বরে বিয়ে
- আরও পড়ুন: বাদীকে বিয়ে করে ধর্ষণ মামলার আরেক আসামির জামিন
- আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলার পর আদালতে বিয়ে
- আরও পড়ুন: কারাগারে বিয়ে: ধর্ষণের আসামির জামিন