ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ২৬ বন্ধু মাওয়া এলাকায় যান পদ্মা সেতু দেখতে। সেতু দেখার পর কাইজ্জার চরে গিয়ে গোসল করতে নামে কয়েকজন।
হঠাৎই পানিতে ডুবে যায় দুই জন। পরে উদ্ধার করা হয় এক জনের মরদেহ। অপর জনের খোঁজে তৎপরতা চালাচ্ছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাওয়া প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির।
তিনি বলেন, মৃত স্কুলছাত্রের নাম বাপ্পি। আর নিখোঁজ আছে তামিম। তারা দুজনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
বাপ্পির সঙ্গী রাব্বি জানায়, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে তারা ২৬ বন্ধু পদ্মা সেতু এলাকায় ঘুরতে যায়। ট্রলারে করে পদ্মার কাইজ্জার চরে গিয়ে নদীতে গোসল করতে নামে আট থেকে নয় জন। তখন অন্যরা ট্রলারে উঠতে পারলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি বাপ্পি ও তামিমকে।
নৌ পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং দুই জন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত হই। নিখোঁজের দেড় ঘণ্টা পরে বাপ্পি নামে এক জনের লাশ পাওয়া গেছে।’
নিখোঁজ তামিমকে উদ্ধারে কাজ চলছে বলে জানান মাওয়া কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার মো. মহিউদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর আলোর স্বল্পতায় উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।