কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউবে সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সড়ক তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, টানেলে কাজের অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ইতোমধ্যে টানেলের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত একটি টিউবের নির্মাণ শেষ হয়েছে। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি টিউবের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত টিউবটিতে সেগম্যান্ট বসে গেছে। এখন চলছে সড়ক তৈরির কাজ। আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সড়ক তৈরি হচ্ছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর আনোয়ারা প্রান্ত থেকে টানেলের দ্বিতীয় টিউব নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথম টিউব থেকে ১২ মিটার দূরে শেষ টিউবটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটির ১৮ মিটার থেকে ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে যাবে টানেল বোরিং মেশিন।
হারুনুর রশিদ বলেন, চীন থেকে আনা প্রায় তিনতলা সমান উঁচু দৈত্যাকৃতির টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) দিয়ে আনোয়ারা পয়েন্ট থেকে দ্বিতীয় টিউবের কাজ চলছে। সেখানে খনন শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৩ মিটার বা ১৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত চলে যাবে। টিবিএম আনোয়ারা প্রান্ত থেকে নদীর তলদেশে ঢুকে আরেকটি দুই লেনের সড়ক খোদাই করে পতেঙ্গা অংশে বের হবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টানেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এ টানেল বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। টানেলের নামকরণ হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’।
চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি নির্মাণ করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ করছে সরকার। মূল টানেল লম্বায় ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে গাড়ি আসা-যাওয়ার জন্য থাকবে দুটি আলাদা টিউব। প্রতিটি টিউব লম্বায় ২ দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার। ২০২২ সালে টানেল নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।