পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার এক হাজার বছর আগের ব্রোঞ্জের তৈরি দুটি মূর্তির ঠাঁই হলো কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘরে। এর মধ্যে একটি বৌদ্ধমূর্তি ও অপরটি বিষ্ণুমূর্তি।
মূর্তি দুটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক ডা. আতাউর রহমানের কাছে বৃহস্পতিবার সকালে হস্তান্তর করেন কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম সোহেল রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান।
ডা. আতিউর রহমান বলেন, ‘মূর্তি দুটি ইতিহাসের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য এগুলো ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ দেবীদ্বার উপজেলার বারুর গ্রামের আবদুর রহমানের বাড়ির পাশ থেকে ব্রোঞ্জের বৌদ্ধমূর্তিটি উদ্ধার করে পুলিশ। মূর্তিটির উচ্চতা সাড়ে ছয় ইঞ্চি ও প্রস্থ তিন ইঞ্চি। তবে উদ্ধারের সময় মূর্তিটির বেদির অংশটি ভাঙা ছিল।
এরপর ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল একই উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুর রহিমের বাড়ির পাশে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্রোঞ্জের বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। যার উচ্চতা সাড়ে সাত ইঞ্চি ও প্রস্থ তিন ইঞ্চি।
দুটি মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ দ্বেবীদ্বার থানায় জিডি করে। মূর্তিগুলো থানাতেই থেকে যায়। মাসখানেক আগে জিডির কপিগুলো কুমিল্লা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার পর্যবেক্ষণে দেখে যে এগুলো পাচার হয়ে আসা মূর্তি নয়, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মামলা না থাকায় ময়নামতি জাদুঘরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টডিয়ান হাসিবুল হাসান বলেন, উদ্ধার করা বৌদ্ধ ও বিষ্ণুমূর্তি দুটির নকশা দেখে ধারণা করা যায়, এগুলো এক হাজার বছর আগে বৌদ্ধ শাসনামলের।
বিষ্ণুমূর্তি। ছবি: নিউজবাংলা
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘মূর্তি দুটি যখন উদ্ধার হয় তখন আমি এ থানার দায়িত্বে ছিলাম না। এত দিন থানার মধ্যেই সংরক্ষিত ছিল মূর্তি দুটি। এখন আদালত চেয়েছে তাই আমরা মূর্তিগুলো হস্তান্তর করেছি।’
বৌদ্ধমূর্তি। ছবি: নিউজবাংলা